কোরবানি গরু জবাই করার নিয়ম ও দোয়া

প্রিয় পাঠক আসসালামু আলাইকুম কোরবানীর গরু জবাই করার নিয়ম ও দোয়া এ সম্পর্কে আপনাদেরকে জানানোর চেষ্টা করব। আমাদের এই আর্টিকেলে আপনাদের মনের সব অজানা সব প্রশ্নের উত্তর দেবার চেষ্টা করব ইনশাল্লাহ। আরো জানাবো কোরবানির মাংস কতদিন রাখা যাবে এ সম্পর্কেও আরো অনেক বিস্তারিত তুলে ধরবো দয়া করে ধৈর্য সহকারে আমাদের পোস্টটি পড়ুন।
কোরবানি গরু জবাই করার নিয়ম ও দোয়া


কোরবানি গরু জবাই করার নিয়ম ও দোয়া কোরবানিটা হচ্ছে আল্লাহতালা কে খুশি রাখার জন্য কোরবানিটা আমরা দিয়ে থাকি কিন্তু অনেকেই জানেনা যে কোরবানির গরু জবাই দেওয়া ও সঠিক দোয়া এখন কোরবানি গরু জবাই করার নিয়ম ও দোয়া সম্পর্কে বিস্তারিত বলবো।

ভূমিকাঃকোরবানি গরু জবাই করার নিয়ম ও দোয়া

কোরবানি গরু জবাই করার সময় আমাদের যে দিকটাতে খেয়াল রাখতে হবে ছুরি চালানোর সময় দেখতে হবে পশুর গলার মূল তিনটি অঙ্গ ভালোভাবে কেটেছে কিনা। তিনটি জিনিসের মধ্যে প্রথম এর মধ্যে একটি হচ্ছে খাদ্যনালী, দ্বিতীয়টি হচ্ছে শ্বাসনালী, তৃতীয় হচ্ছে শ্বাসনলির দুই পাশে দুটি রোগ আছে সে দুটিকে ভালোভাবে কাটতে হবে।

সেগুলো যদি ঠিকমতো এই অঙ্গগুলো কেটে দেওয়া হয় তাহলে গরু ১০ থেকে ১২ মিনিটের মধ্যেই নিস্তেজ হয়ে পড়বে তারপর পরবর্তী কাজগুলো আস্তে আস্তে করতে হবে।এইভাবে জবাই করলে সুন্নত আদায় হবে।

উচ্চারণঃআল্লাহুম্মা তাকাব্বাল্লাহু মিনকা-মিনকুম কামা তাকাব্বালতা মিন হাবিবিকা মোহাম্মাদীও ওয়া খালি লিকা ইব্রাহীম।'উল্লেখ্য,যদি কেউ কুরবানী দেয় এবং নিজে জবাই করে তবে বলবে মিন্নি; আর যদি অন্য কের কুরবানীর পশু জবাই করার সময় মিনকা মিনকুম বলে।যারা কোরবানি আদায় করছি তাদের নাম বলা এই সবগুলো যদি ঠিক থাকে তাহলে কোরবানি গরু জবাই করার নিয়ম ও দোয়া সঠিকভাবে আদায় করা হবে।

কোরবানির মাংস কতদিন রাখা যাবে

কোরবানির মাংস যেহেতু ইসলামের শরিয়াতে এটি হালাল তাই কোরবানির মাংস আপনি যতদিন ইচ্ছা সংরক্ষণ করে রাখতে পারেন এবং অনেকদিন রেখে খেতে পারে এতে শরীয়াতে কোন বাধা নেই।
কোরবানির দাতা কোরবানির ভাগের যে মাংস পান সাধারণত আপনি তা থেকে কিছুটা গরিব মানুষদের মাঝে ভুলিয়ে দেন।

আবার কিছু অংশ আপনি নিজে খাবার জন্য সংরক্ষণ করে রাখেন আবার কেউ কেউ কোরবানির কেউ মাংস মাংস রাখতে চায় না। সব টুকু গরিব মানুষদের মাঝে বিলিয়ে দেন এবং খেয়ে ফেলে। তারা আবার মনে করে যে কোরবানির মাংস তিন বা সাত দিন এর বেশি সংরক্ষণ করে রাখা যায় না এটি ধারণাটি ঠিক নয়, আপনি কোরবানির মাংস যতদিন পারেন সংরক্ষণ করে রাখতে পারেন।

এতে ইসলামের শরীয়তে বাধা নেই। ইসলামের প্রথম শরীয়তের যুগে কোরবানির মাংস তিন দিনের বেশি এবং সাত দিনের বেশি সংরক্ষণ করার অনুমতি ছিল না কারণ রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন তোমরা কোরবানির মাংসটিকে রাখতে পারবে না এর অবশিষ্ট যা থাকে সেটিকে গরীব দুঃখী মানুষের মাঝে আবার বিলিয়ে দাও।


আবার কিছু বছর পর এই ব্যবস্থা নির্দেশ প্রত্যাখ্যান করা হয় রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন এ প্রসঙ্গে দরিদ্র গরিব মানুষদের কথা চিন্তা ভাবনা করে আমি সংরক্ষণ করতে নিষেধ করেছিলাম এখন তোমরা নিজেরাও খাও এবং অন্য কেউ খাওয়াও এখন কোরবানির মাংস সংরক্ষণ করতে পারো। মুসলিম ১৯৭১

গরিব মানুষদের দেবার পর বাকি মাংস সংরক্ষণ করে রাখতে পারো এতে কোন অসুবিধা নেই সেটা তুমি নিশ্চিন্তে রাখতে পারো (মোয়াত্তা মালেক ১/৩১৮)
তবে খেয়াল রাখতে হবে দশে মহরম বা আশুরার দিন খাবার উদ্দেশ্যে জমিয়ে রাখার ব্যাপারে আলেম গণদের আপত্তিকর ব্যবস্থা রয়েছে সব এর উদ্দেশ্যে এটি করা জায়েজ নয় বলে মনে করেন।

সূত্রঃফাতহুল বাবিঃ১০/৩০-৩১;আল-বাহ্রুর রায়ইকঃ৮/২০৩; আল মাজমুঃ৮/৪১৯;নাইলুল আওতারঃ৬/২৬৭)

কোরবানির গোস্ত বন্টনের হাদিস

কোরবানি কোরবানির সম্পর্কে আল্লাহ তালা কোরআন কারিমে বলেছেন।যে তোমরা উহা হতে মানুষকে আহার কর এবং দোস্ত অভাবগ্রস্ত মানুষদের আহার করাও তোরা আয়াত নম্বর ২৮ আরো বলেছেন রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তোমরা নিজেরা খাবে এবং অন্যদেরকেও আহার করাবে এবং সংরক্ষণও করতে পারো বুখারি হাদিস (৫৫ ৬৯)

মহান আল্লাহতালা বলেছেন তোমরা অনুগত্য লাভের ও সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য হচ্ছে অন্যতম মাধ্যমিক একটি কোরবানি। এবং পন্থায় ত্যাগ তিথি শিক্ষার মাধ্যমে মানুষদের সাধারণ প্রিয় বস্তু আল্লাহতালার সন্তুষ্টের জন্য এবং আল্লাহ তালার রাস্তার উদ্দেশ্যে উৎসর্গ করতে হবে। পশু কোরবানি দেওয়ার উদ্দেশ্য হচ্ছে অন্তরকে পরিশুদ্ধ করা এবং দিল কে পবিত্র করা এবং এটা জন্যই মূলত কোরবানি দেওয়া।

কোরবানির গরুর ভাগের নিয়ম

আল্লাহ কোরবানির মাংসের সম্পর্কে যে বলেছেন মহান আল্লাহতালা কোরআনের কারীমে বলেছে যে ওমরা হতে উহা হতে আহার কর এবং দুস্থ অভাবগ্রস্থ গরিব মানুষদের আহার করাও সূরা হজ্জ আয়াত নম্বর হল ২৮) রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আরো কোরবানির সম্পর্কে যে বলেছেন তোমরা খাবে এবং গরিব মানুষদের আহার করাও এবং তোমরা সংরক্ষণ করো।বুখারী হাদিস হচ্ছে (৫৫ ৬৯)।

কোরবানি গরু জবাই নিয়ম ও দোয়া মুসলিম মুসলিমদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব হল ঈদ উল আযহা যাকে আমরা বলে থাকি কোরবানি কি এই ঈদে আমরা সবাই পশু কোরবানি করে থাকি পশু কোরবানির মুমিনদের কলব হয় এবং পবিত্র এবং আল্লাহ তালাকে খুশি রাখার জন্য আর এসবের কারণেই আমাদের কোরবানি করার উদ্দেশ্য।

কোরবানির মাংস করার ভাগ করার হাদিসে বর্ণিত রয়েছে আমাদের মহানবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কোরবানির মাংস ভাগ করার স্পষ্ট ভাবে বলে দিয়েছেন যে আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু বর্ণিত রয়েছে যে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কোরবানির মাংস তিনি একমত খেতেন।

এবং আর এক ভাগ তার গরিব প্রতিবেশীর মাঝে বিলিয়ে দিতে আরেকটা সে তার গরিব মিসকিনদের মাঝে মিলিয়ে দিতেন। আরো কোরআনে বর্ণিত আছে কোরবানি গরু জবাই করার নিয়ম ও দোয়া সঠিকভাবে জানতে হবে।আল্লাহতালা কুরবানির মাংস সম্পর্কে কোরআন কারীমে বলেছেন যে তোমরা হুয়া হতে আহার কর এবং দোস্ত অনু অভাবগ্রস্তদের আহার করাও সূরা হজ্জ আয়াত নম্বর ২৮।

কোরবানির মাংসের বিশ্বের শায়িত বুখারীতে রয়েছে সালামা বি ন আকুয়া রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণিত রয়েছে যে নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন তোমরা খাও এবং সংরক্ষণ করে রাখো। আবার হাদিস ও বর্ণিত খাওয়াও কথাটি ধনীদের হাদিয়া এবং দরিদ্রকে দান এবং অন্য ভুক্ত করে তুলবে।

আবার একই সহিত মুসলিমদের শরীফে আয়েশা রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু থেকে বর্ণিত হয়েছে যে নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন তোমরা খাও সংরক্ষণ করে রেখো এবং দান করো।

কুরবানীর সঠিক নিয়ম

কোরবানি গরু জবাই করার নিয়ম ও দোয়া ভালোভাবে জানতে হবে। জবাই করার সময় খেয়াল রাখতে হবে পশু যাতে কষ্ট না পায়, এবং জবাই দেওয়ার সময় খেয়াল রাখতে হবে ছুরি ভালোভাবে যেন শান দেওয়া থাকে তারপর পশুর গলায় ছড়ি চালানোর সময় বিসমিল্লাহি আল্লাহু আকবার বলতে হবে শুধু বিসমিল্লাহি বললেও চলবে।

আবার যারা কোরবানির পশু জবাই করবে এবং ধরবে তারা যেন পবিত্র ও অজু করে থাকে। এবং কোরবানির দাতা যার যার নামে কোরবানি হবে তাদের নাম কোরবানি দেবার সময় উল্লেখ করতে হবে উল্লেখ করলে কর কোরবানি টা সফল হবে। আরো খেয়াল রাখতে হবে ছুড়িটা যেন ভালোভাবে চালাতে হবে।

যেন খাদ্যনালী ভালোভাবে কাটে আর ও খেয়াল রাখতে হবে যেন ভালোভাবে শ্বাসনালী ভালোভাবে কাটে এবং আরো শ্বাসনলির দুই পাশে দুটি রোগ আছে সে দুটিকে ভালোভাবে কাটতে হবে এই সবগুলো পন্থা যদি ঠিক থাকে তাহলে কোরবানি সঠিক হবে।

৬ ভাগে কুরবানী দেওয়া যাবে কি

মুসলিমদের বড় একটি আকর্ষণ হল ঈদুল আযহার এটি একটি হলো বড় আমল কুরবানী। এবং ইসলামের এটি শরীয়াত বা মহান নির্দেশন আল্লাহ তায়ালা কোরবানির নির্দেশ দিয়ে বলে গিয়েছেন এটি হচ্ছে কোরবানি টা দেওয়া আল্লাহকে খুশি করা এবং নিজের দিলকে বিশুদ্ধ করা। সামর্থ্য অনুযায়ী একজন একটি পশু অথবা বড় পশু মিলে কয়েকজন ভাগাভাগি করে কোরবানি করা জায়েজ আছে।

গরু মহিষ ও সাত ভাগে কমেও করা যাবে কোন সময় যেমন দুইজন তিনজন চারজন পাঁচজন ছয়জন ভাগে দেওয়া যাবে এটাও কোরবানি যায়। অর্থাৎ আপনি চাইলে একটি গরু বা মহিষ বা উ ট কোরবানি দিতে পারে। আবার একইভাবে দুই,বা চার,কিংবা এক, তিন,পাঁচ ভাগও করতে পারেন এতে কোরবানি শুদ্ধ হবে।

এবং আরো সবাই জানতে চায় কোরবানির মাংস কতদিন রাখা যাবে এটার সম্পর্কেও কোন বিশেষজ্ঞ নাই এটা আপনি যতদিন পারেন সংরক্ষণ করে রাখতে পারেন

লেখকের মন্তব্য

প্রিয় পাঠক আসসালামু আলাইকুম আজকে আর্টিকেল আর্টিকেল তুলে ধরেছি কোরবানি গরু জবাই করার নিয়ম ও দোয়া আশা করছি আমাদের এই পোস্টটি পড়ে আপনার না জানা মনের সকল প্রশ্নের উত্তর পেয়ে গেছেন।আরো উল্লেখ করেছি কোরবানির মাংস কতদিন রাখা যাবে। আমাদের এই পোস্টটি পড়ে যদি আপনি উপকৃত হন।

তাহলে এই পোস্টটি শেয়ার করে আপনার বন্ধুবান্ধবদের মাঝে শেয়ার করে দিবেন।এবং আপনার মতামত আমাদের কমেন্টে জানিয়ে যাবেন এবং আমাদের এই ওয়েবসাইটে আরো অনেক ধরনের আর্টিকেল পেয়ে যাবেন ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

ডিজিটাল লাইফ স্টাইলের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন.প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয;

comment url